ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিয়ে আবারো হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। পবিত্র রমজানে গত মঙ্গলবার থেকে আবার নতুন করে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। গত চারদিনে ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের বর্বর এই আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।

তবে এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় তেল আবিব পুনরায় আক্রমণের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় মৃত্যুর মিছিলের মধ্যেই স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এ কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

শুক্রবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এর প্রতিবেদন অনুযায়ি হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ‘পূর্ণ সমর্থন’ আছে ট্রাম্পের। একইসঙ্গে গাজায় চলমান গণহত্যার জন্য হামাসকে অভিযুক্ত করেছে ওয়াশিংটন। ।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় ইসরায়েলের বিমান ও স্থল আক্রমণ পুনরায় শুরু করার বিষয়টিকে “পূর্ণ সমর্থন” করেন। এছাড়া গত মঙ্গলবার থেকে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন তিনি।

ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে লিভিট বলেন, “তিনি ইসরায়েল ও আইডিএফ (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেন।”

গাজায় দীর্ঘদিন ধরে চলা নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমেই গত জানুয়ারিতে কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি। যা কয়দিন ধরে ভেঙে দিয়ে আবারো সেখানে বর্বর হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল।

উর্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস যখন ইসরায়েলে আক্রমণ চালায়, তখন থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অর্ধলক্ষের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া, আহত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষ।